চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক পদে বহাল থেকেও নৌকার প্রার্থীর জন্য খোরশেদ আলম সুজনের ভোট চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল বিকেলে সংগঠনটির আহ্বায়ক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দেয়া অভিযোগে এ প্রশ্ন তোলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, একদিকে বিএনপির নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এজেন্টদের বিনা কারণে গ্রেফতার করছে পুলিশ। অন্যদিকে প্রশাসক পদে বহাল থেকেও নৌকার প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন খোরশেদ আলম সুজন। এছাড়াও সরকার দলীয় প্রার্থী সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে জানিয়ে অভিযোগে বলা হয়, সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা নগরীর বিভিন্ন হোটেলে এসে বৈঠক করছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। নির্বাচনের নামে নির্যাতন সহ্য করা হবে না। এছাড়া নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ব্যবহৃত মেমোরি কার্ডের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতেও দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মদ খলিল খান, নিপার চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুল হক, সৌরভ প্রিয় পাল।
এদিকে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চকবাজার থানার একটা টিম চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের চট্টেশ্বরী অফিসে গিয়ে পাঁচ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে সৌরভ প্রিয় পাল। পরে অবশ্য ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।