নৌকার আদলে মঞ্চ, বসতে পারবেন ২শ অতিথি

পলোগ্রাউন্ডে ৪ ডিসেম্বরের জনসভা ঢাকা থেকে আসছে ১৫০ মাইক, বাইরে ৭ স্থানে বড় এলইডি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার বাকি আর মাত্র ৮ দিন। ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগসহ চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। থানা-উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রচারণা শেষে এখন জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠে দিনে-রাতে সমানতালে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপির নেতৃত্বে শীর্ষ নেতারা প্রায় প্রতিদিন মাঠ পরিদর্শন করছেন। খুঁটিনাটি দিকগুলো দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। বরাবরের মতো মাঠে নৌকার আদলে সুদৃশ্য মঞ্চ তৈরির কাজ করছে সাহাবুদ্দিন ডেকোরেটার্স। ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চ তৈরির সকল অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মঞ্চে একসাথে বসতে পারবেন ২শ অতিথি। জনসভার স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচারে পলোগ্রাউন্ড ও আশেপাশের এলাকায় লাগানোর জন্য ঢাকা থেকে আসছে বিখ্যাত মাইক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কলরেডির ১৫০টি মাইক। মঞ্চের মাঝখানে ৮০ ফুটের এলইডি লাগানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার জন্য ভেতরে-বাইরে সাত স্থানে বড় এলইডি লাগানো হবে।

জনসভা সফল করতে নেতাকর্মীদের পোস্টার-ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রীকে বরণে চট্টগ্রাম জুড়ে চলছে আয়োজন। জনসভার মাঠের ভেতরের দশ গুণ (প্রায় ২০ লাখ) বাইরে লোক সমাগম করার কথা জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।
২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবারও ভাষণ দেবেন তিনি। এদিকে ২০১২ সালেও জনসভার মঞ্চ তৈরি করেছিল সাহাবউদ্দিন ডেকোরেটার্স।

ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি বলেন, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি ও নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ থেকেই চট্টগ্রামে জনসভায় আসার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। এখন মাঠে মঞ্চের কাজ চলছে।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে দিনে-রাতে। মঞ্চের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের তত্ত্বাবধানে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। মোশাররফ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমাদের সকল সিনিয়র নেতা প্রায় প্রতিদিনই মাঠ পরির্দশন করছেন। খুঁটিনাটি দিকগুলো দেখছেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও মনিটারিং করছেন।

মঞ্চ তৈরির কাজে নিয়োজিত সাহাবউদ্দিন ডেকোরেটার্সের স্বত্বাধিকারী হাজী মো. সাহাবউদ্দিন আজাদীকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চটি নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। মঞ্চটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৬০ ফুট। মঞ্চের মাঝখানের ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে ২শ অতিথি বসবেন। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। এছাড়া মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও মহিলাদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষ পুড়িয়ে মারা বা গ্রেনেড মারলে একটাকেও ছাড়ব না : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধআমার মন পড়ে আছে চট্টগ্রামে