নোটিশের জবাব দেননি বিবাদীরা, সময়ের আবেদন

কোর্টহিলকে পরীর পাহাড় বলা নিয়ে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় বলা নিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির করা মামলায় নোটিশের জবাব এবারও দাখিল হয়নি। নোটিশের জবাব দিতে দ্বিতীয় বারের মতো আদালতের কাছে বিবাদীরা সময়ের আবেদন করেছেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন এবং ওইদিন নোটিশের জবাব দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেন। গতকাল প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নোটিশের জবাবের জন্য দিন ধার্য ছিল। এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর সময়ের আবেদন করা হয়। আদালতের এজিপি মো. মোশারফ হোসেন আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় হিসেবে লিখা, বলা, প্রচার এবং পত্র বিনিময় করা যাবে না মর্মে গত বছরের ১০ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫৩ ধারার একটি আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশটি দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, যেহেতু এখন পর্যন্ত নোটিশের জবাব দাখিল হয়নি সেহেতু আদালত কর্তৃক প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞাটিও বহাল থাকবে। অর্থাৎ জবাব দাখিল, সেটির উপর শুনানি এবং আদেশ পর্যন্ত কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় হিসেবে লিখা, বলা, প্রচার এবং পত্র বিনিময় করা যাবে না।
চট্টগ্রামের ‘আদালত ভবন’ খ্যাত ‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় হিসেবে প্রচারণা না চালাতে দেওয়ানী কার্যবিধির ১ নম্বর আদেশের ৮ নম্বর বিধিমতে প্রতিনিধিত্ব আকারে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান ও জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ নভেম্বর প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইসরাত জাহানের আদালতে মামলাটি করে জেলা আইনজীবী সমিতি। অন্য দু’জন হলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল হাসান ও বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আইনিভাবে স্বীকৃত ও বহুল প্রচারিত ‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় হিসেবে লিখা শুরু করেছেন বিবাদীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৮ আগস্ট সিডিএকে দেয়া একটি পত্রে ‘কোর্ট হিলে’র জায়গায় পরীর পাহাড় উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত পত্রের উপর সিডিএ ‘কোর্ট হিল’কে পরীর পাহাড় লিখে গত ১৭ আগস্ট জেলা প্রশাসন বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। যেখানে সরকারের কোনোরূপ সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন ব্যতিরেকে সিডিএ সচিবকে প্রভাবিত করে ‘কোর্ট হিলে’র জায়গায় পরীর পাহাড় লিখতে বাধ্য করা হয়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, একটি কাল্পনিক ইস্যু সৃজন করে শত বছরের স্বীকৃত ঠিকানা ‘কোর্ট হিল’ কিংবা ‘আদালত ভবন’ মুছে বা বাদ দিয়ে কল্পিত পরীর পাহাড় নামক সাইন বোর্ড কোর্ট হিলের চতুর্দিকে স্থাপনা করতে শুরু করে বিবাদীরা। এমনকি বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাকে পরীর পাহাড় লিখতে বাধ্য করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুরাদ ও স্ত্রীর অস্ত্র থানায় জমা
পরবর্তী নিবন্ধকাল শাহছুফী ছৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপূরীর (রহ.) ওরশ