নগরীর চাক্তাই রাজাখালী এলাকায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির দায়ে চারটি কারখানাকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই)।
অভিযানে দেখা যায়, তেলাপোকা, মাছিসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ সেমাইয়ের ওপর অবাধে বিচরণ করছে। খুবই নোংরা পানি ব্যবহার করা হচ্ছে সেমাই তৈরিতে। খোলা পরিবেশে শুকানোর কারণে ধুলাবালি ও কার্বনযুক্ত ছাই সেমাইয়ের সাথে মিশছে। এসব কারণে অভিযানে রফিক ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ টাকা, ইমরান ফুড প্রোডাক্টসকে ৪০ হাজার টাকা, মোস্তফা সেমাই ফ্যাক্টরিকে ১ লাখ টাকা, আ. রহিম সেমাই ফ্যাক্টরিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া একই এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করা হয়। গতকাল চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ–পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
অপরদিকে গতকাল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে লাচ্চা সেমাই তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ মশলা মজুদ ও বিক্রির অপরাধে নগরীর ইসমাইল ফয়েজ রোডের একটি সেমাই তৈরি কারখানাসহ তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ‘পুষ্টি সেমাই’ কারখানাকে ২০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ মশলা বাজারজাত করার জন্য মজুদ রাখার দায়ে ‘মেসার্স বশর মোল্লা এন্ড কোং’কে ৪০ হাজার টাকা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মরিচ মসল্লা ক্রাশিং করার অপরাধে ‘আল রহমান ক্রাশিং’কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা।