নেশা করার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে লোহার হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়েছেন তার স্বামী। এতে স্ত্রী আছমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। আছমা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে নগরীর বন্দরের মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় অভিযান চালিয়ে বন্দর থানাধীন মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে স্বামী মো. বেল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেল্লাল পেশায় সুইপার। তিনি ভোলা জেলা সদরের ভেলুমিয়া এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নেশা করার জন্য বেল্লাল তার স্ত্রী আছমার কাছে সবসময় টাকা চাইতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিন ঝগড়া লেগে থাকত। আছমাকে সবসময় গালাগালি ও মারধর করা হতো। গত শুক্রবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বেল্লাল লোহার হাতুড়ি দিয়ে আছমার মাথায় আঘাত করেন। এতে আছমা খাটে পড়ে যান। ওই অবস্থায় বেল্লাল একই হাতুড়ি দিয়ে আছমার মাথায় আরো আঘাত করেন। এতে আছমার মাথায় গুরুতর জখম হয়।
পুলিশ জানায়, আছমা ও বেল্লালের ছেলের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে বেল্লাল সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন এসে আছমাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আছমা হত্যার ঘটনায় তার ছেলে মো. হান্নান বাদী হয়ে বন্দর থানায় বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন আজাদীকে বলেন, ঘটনার পর আসামি বেল্লাল পালিয়ে মুন্সিপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। এ বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে আছমার মামা আনোয়ার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লোকজনের কাছ থেকে শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখতে পান, আছমাকে ধরে বসে আছে বেল্লাল। বলছে, আমাকে মাফ করে দে, আমি ভুল করেছি, তুই আমার ওপর কোনো দায়–দাবি রাখিস না।