নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

পাইলটের ফোন জানান দিল অবস্থান

| সোমবার , ৩০ মে, ২০২২ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

 

 

নেপালের পর্যটন নগরী পোখারা থেকে জমসম বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া ছোট যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। উদ্ধারকর্মীরা পরে নেপালের মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। খবর বিডিনিউজের।

বেসরকারি এয়ারলাইন্স তারা এয়ারের ওই উড়োজাহাজটি রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে পোখারা ছেড়ে যায় এবং ১৫ মিনিট পরই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সটির মুখপাত্র। পরে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) এর মাধ্যমে উড়োজাহাজটির পাইলট ক্যাপ্টেন প্রভাকর ঘিমিরের মোবাইলের লোকেশন ট্রাক করে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি খুঁজে বের করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সময় টুইন অটার ৯এনএইটি উড়োজাহাজটিতে তিনজন ক্রু ছাড়াও ৪ ভারতীয়, ২ জার্মান ও ১৩ নেপালি যাত্রী ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে আছেন নাকি সবাই মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়ালের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এএনআই জানায়, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তারা এয়ারের উড়োজাহাজটি লামছে নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। নেপালের সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথ দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হিমালয়কন্যা নেপালের বিমানবন্দরগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় উপরের দিকে ধরা হয়। পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ওইসব বিমানবন্দরে অভিজ্ঞ পাইলটরাও বিমান উঠানামা করাতে হিমশিম খান। তার উপর রয়েছে দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে জমসম এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছিল। সেখানে জমসম উপত্যকার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে উড়োজাহাজকে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে চলতে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপকল্প
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা