সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতের অরুনাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার প্রথম সেমি–ফাইনালে নেপালকে ২–১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব–২০ বছর বয়সীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের গত আসরে নেপালকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। অনেকটা সময় ভোগান্তির পর হেডে ডেডলক ভাঙলেন আশিকুর রহমান। পরে মোহাম্মদ মানিকের নিঃস্বার্থ পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। সাত মিনিটের ঝড়ে নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলের সাথে। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে। তবে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল নেপাল। সপ্তদশ মিনিটে বাম দিক থেকে আসা আক্রমণ রুখে বাংলাদেশের ত্রাতা গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন। ২২ মিনিটে নেপালের সাবিন কুমারের শট প্রতিহত হয় রক্ষণে। পরের মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ শাণায় বাংলাদেশ। ফয়সালের থ্রু পাস ধরে রিফাতের বাম পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান নেপাল গোলকিপার। ৩০ মিনিটে নেপালের একটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পেলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। এর চার মিনিট পর বঙের ওপর থেকে মুর্শেদের ফ্রি কিক বেরিয়ে যায় পোস্ট অল্প বাইরে দিয়ে। ৩৬ মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ফয়সালের কাছের পোস্টে নেওয়া শট ফিস্ট করে ফেরান নেপাল গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। বিরতি থেকে ফিরে ৫৫ মিনিটে কর্নারের পর বাংলাদেশের একটি আক্রমণ গোললাইন থেকে ফেরান নেপালের ডিফেন্ডার মদন পাউডেল। ৬০ মিনিটে মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে উড়ে আসা শট ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি মাহিন। তবে বল গ্লাভস গলে বেরিয়ে গেলেও সামনে থাকা সুজান দাঙ্গল নাগাল পাওয়ার আগেই দ্রুত ঝাঁপিয়ে আঙুলের টোকায় দুরে ঠেলে দেন তিনি। নেপালের চাপ সমালে ৭৩ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফয়সালের কর্নারে দূরের পোস্টে আশিকুর রহমান হেডে খুঁজে নেন জাল। সাত মিনিট পর অধিনায়ক ফয়সাল নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই গোল লেখা হতে পারত মানিকের নামের পাশেও। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ভালো জায়গায় থেকেও, আরও নিশ্চিত হতে শট না নিয়ে ফয়সালকে বল বাড়ান তিনি। ম্যাচে নেপাল উত্তেজনা ফেরায় ৮৬ মিনিটে। বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা সুজান জোরাল শটে পরাস্ত করেন মাহিনকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফয়সাল পেতে পারতেন নিজের দ্বিতীয় গোল। কিন্তু বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের কড়া পাহারা ভেদ করতে পারেননি তিনি। ফলে ২–১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তার দলকে।