নেপচুন-ইউরেনাসে মিলিয়ন ক্যারেটের হীরা ‘থাকাও সম্ভব’

| বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

নেপচুন আর ইউরেনাসের মতো আইস জায়ান্টে কয়েক মিলিয়ন ক্যারেটের হীরার সম্ভবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা; পৃথিবীর গবেষণাগারেই গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলের অনুকরণে বিশেষ উপায়ে কৃত্রিম আবহাওয়া তৈরি করে সেখান থেকেই ছোট ছোট হীরা তৈরিও সম্ভব। বিজ্ঞানীরা আইস জায়ান্টখ্যাত গ্রহগুলোতে ‘ন্যানোডায়মন্ড’ বৃষ্টির তত্ত্ব দিয়েছিলেন আগেই। শনি বা স্যাটার্নসহ পৃথিবীর তুলনায় দানবীয় গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলের বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টিতে হীরার উপস্থিতির ইঙ্গিত মিলেছিল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আগের গবেষণায়। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক এক জোটের সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত করছে, পুরো ছায়াপথকে বিবেচনায় নিলে ‘হীরক বৃষ্টি’র বিষয়টি সম্ভবত বিরল কিছু নয়। এক গবেষণা থেকে আরও ইঙ্গিত মিলছে যে, বরফ দানব গ্রহগুলোতে সম্ভবত আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি অক্সিজেন আছে এবং বেশি অঙিজেনের উপস্থিতির মানে হচ্ছে গ্রহগুলোতে হীরা থাকার সম্ভাবনাও বেশি। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণা। খবর বিডিনিউজের। কিন্তু নেপচুন ও ইউরেনাসের বায়মণ্ডলকে বিবেচনায় নিলে গ্রহগুলোতে হীরার পুরু একটি স্তর থাকাও অসম্ভব কিছু নয়। গবেষকদের সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে, একই রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ন্যানোডায়মন্ড উৎপাদন করা সম্ভব হতে পারে পৃথিবীর বুকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে লিজ ট্রাস