পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান বলেছেন, নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী সাধারণ শিক্ষিত ছিলেন। ছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু জীবনের একপর্যায়ে তাঁর সান্নিধ্য নসিব হয়েছিল হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রা.) এর। নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণের পর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। ইহ জীবনের সমস্ত অর্জনকে পশ্চাদ রেখে নিজেকে দ্বীন এবং মাজহাবের খেদমতে উৎসর্গ করলেন। নিজের বসত–ভিটাকে ওয়াকফ করে দিলেন দ্বীনের কাজে, আওলাদে রাসুলের আস্তানা হিসেবে। আজ এটি নগরীর ঐতিহাসিক পুণ্যময় স্থান হিসেবে প্রসিদ্ধ। গত ৭ আগস্ট নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকায় নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রহ)-এর ৪৫তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরী। আনজুমান–এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর পরিবার ও খানকাহ শরীফের মোতোয়াল্লিদের পক্ষ থেকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শায়খুল হাদিস হাফেজ সোলায়মান আনসারী, মুফতি কাজী আবদুল ওয়াজেদ, হাফেজ আশরাফুজ্জমান আল কাদেরী, জামেয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, আবুল আসাদ জুবায়ের রিজভী। সঞ্চালনা করেন অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল। আলোচনা শেষে মিলাদ, কিয়াম ও সালাতুস্সালামের পর দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন আল্লামা আবুল আসাদ জুবায়ের রিজভী। এর আগে সকালে নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর জামেয়া সংলগ্ন মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জেয়ারত করা হয়। এরপর পবিত্র খতমে কোরআন, খতমে মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল (দ.), খতমে গাউসিয়া শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।