নুর ভালো আছেন, তবে ব্যথা আছে

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন উনি ভালো আছেন। তবে একটু যেটা হয়, এ ধরনের একটা ট্রমা, এ ধরনের ফ্র্যাকচার হয়েছে কিছু, সেজন্য উনার কিছু ব্যথার কমপ্লেইন আছে। এদিকে গতকাল নুরকে ফোন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়া বিদেশে তার চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গণঅধিকারের নেতাকর্মীরা বক্স কালভার্ট সড়কে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে নুর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা নুর ও তার সহকর্মীদের লাঠিপেটা শুরু করে। হামলায় নুরসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে গণধিকার পরিষদের দাবি। ঘটনার পর নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে রাতেই সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। রাত ১১টার সময় নুরকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় জানিয়ে পরিচালক আসাদুজ্জামন বলেন, প্রথমে উনাকে আমরা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাই। ইনিশিয়ালি অ্যাসেসমেন্ট করার পরে তাকে আমরা আইসিউইতে শিফট করি। ওইদিন রাতেই আমরা একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করি। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ডে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নিউরো সার্জন, আইসিইউর প্রধান আছেন বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক বলেন, সকল বিভাগের প্রধানরা ওইদিন রাতে এবং আমি নিজে উপস্থিত থেকে এই বোর্ডটা পরিচালনা করি। ওখানে তার অ্যাসেসমেন্ট হয় এবং পরবর্তী ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হয়। উনি আগে যে হাসপাতালে ছিলেন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে একটা সিটিস্ক্যান করেছিলেন। পরদিন সকালে আমরা আবার একটা সিটি স্ক্যান করি।

নুরকে আইসিইউতে রেখেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। আসাদুজ্জামানের ভাষ্য, নুর বর্তমানে স্ট্যাবল আছেন এবং কথাবার্তা বলছেন, লিক্যুইড ডায়েট খেতে পারছেন।

নুরের চারটি শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে উনার নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল, ম্যাক্সিলা, যেটা মুখের একটা হাড়ে ক্র্যাক আছে। আর চোখে একটু ইনজুরি, যেটা আমরা সাবকনজাংটিভাল হেমারেজ বলি, সেখানে ডান চোখের এ রকম হেমারেজ আছে। আর যেটা নিয়ে আমরা একটু কনসার্ন, সেটা হচ্ছে উনার কিছু ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমারেজ ছিল। যদিও খুব বেশি না। এটা খুব অল্প পরিমাণে ছিল। আমাদের সিটিস্ক্যান পরবর্তীতে করেছি, আমরা দেখেছি এটা রিজলভ হয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, এখন উনি ভালো আছেন, তবে একটু যেটা হয়, এ ধরনের একটা ট্রমা, এ ধরনের ফ্র্যাকচার হয়েছে কিছু, সেজন্য ওনার কিছু ব্যথার কমপ্লেইন আছে। একটু ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, এটাই উনি আজকে আমাকে বলেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিএফপির গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্য উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি মাসেই তিন নিলামের আয়োজন