নীল-সবুজে গ্যালারিতে নতুন রূপ জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তান সিরিজ চলাকালে চট্টগ্রাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গ্যালারির চেয়ারগুলোর হতশ্রী অবস্থা দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তখনই বিসিবি ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান সিরিজের পরপরই চেয়ার প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে গ্যালারিতে চেয়ার প্রতিস্থাপনের কাজ। এদিন স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের গ্যালারির বড় একটা অংশজুড়ে বসানো হয়েছে সবুজ এবং নীল রঙের চেয়ার। এই ভেন্যুতে সর্বশেষ চেয়ার বসানো হয়েছিল ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়। এরই মধ্যে গ্যালারির বেশিরভাগ চেয়ার নষ্ট হয়ে বসার অযোগ্যই কেবল নয়, দুর্ঘটনার কারণ হয়েও দাঁড়িয়েছিল। এই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ১৫ হাজারের মত চেয়ার রয়েছে। তবে সেসব চেয়ারের মধ্যে কিছু কিছু চেয়ার এখনো ভাল রয়েছে। তাই ১২৮৬০টি চেয়ার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
জানা গেছে, চায়না থেকে আমদানিকৃত এইসব চেয়ার প্রতিস্থাপনের দুই বছরের মধ্যে ভেঙে গেলে বা খুলে গেলে তা ঠিক করে দেবে আরএফএল কর্তৃপক্ষ। দুই বছর ফ্রি রক্ষণাবেক্ষণ করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরের মধ্যে কোনো চেয়ার নষ্ট হলে বা ভেঙ্গে গেলে তা ১৫ দিনের মধ্যে মেরামত করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিসিবির একাধিক কর্মকর্তা। চেয়ারের স্থায়ীত্বের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে বিসিবি। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আপাতত কোন সিরিজ নেই। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তার আগেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে চেয়ার বসানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিসিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার মত ব্যয় হচ্ছে এই চেয়ার বসানোর পেছনে।
চেয়ার প্রতিস্থাপনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানিয়েছে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজটি করছে। যাতে চেয়ারগুলো টেকসই হয়। যেহেতু বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলো উম্মুক্ত তাই রোদ, বৃষ্টি কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চেয়ার নষ্ট হয়ে যায়। যদিও সেম্পল হিসেবে গত দুই বছরেরও বেশি সময় আগে বসানো তিনটি চেয়ারের তেমন কোনো ক্ষতি সাধিত হয়নি। অবশ্য এই চেয়ারগুলোতে কেউ বসেনি। কারণ চেয়ার তিনটি গ্যালারির একেবারে নিচের অংশে বসানো হয়েছিল। তবে কর্মকর্তারা আশা করছেন এবারের চেয়ারগুলো দীর্ঘ সময় ভাল থাকবে। তাদের আশা আগামী বিপিএলের আগেই সবগুলো চেয়ার বসানো শেষ হয়ে যাবে। আর তাতে জহুর আহমদ স্টেডিয়াম যেন আবার নতুন রূপ ফিরে পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অগ্রহণযোগ্য, তবে সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় দফায় চলছে ডিজিটাল সার্ভে