নীরদচন্দ্র সি চৌধুরী (১৮৯৭–১৯৯৯)। খ্যাতনামা দীর্ঘজীবী বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। তিনি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ববঙ্গে জন্মালেও তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় চলে যান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপনের পর তিনি সরকারি চাকুরে হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯২৮–এ মডার্ন রিভিয়ুতে সহকারী সম্পাদকের চাকরি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ছিলেন কলকাতার রেডিওতে–যুদ্ধের ঘটনাবলির ভাষ্যকার। পরে ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে চাকরি পেয়ে দিল্লি চলে যান। সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। নীরদচন্দ্র চৌধুরী সাহিত্যজীবন শুরু করেছিলেন আলোচিত বিদ্রুপাত্মক পত্রিকা শনিবারের চিঠিতে ‘বলাহক নন্দী’ ছদ্মনামে লেখালেখির মধ্য দিয়ে। যদিও বাংলা ভাষায় চারটি বই লিখেছেন, তবু তাঁর পরিচিতি ছিলো মূলত ইংরেজী ভাষার লেখক হিসাবেই। তাঁর প্রথম বই ‘দি অটোবায়োাগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান‘ ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় রচিত তাঁর প্রথম গ্রন্থ ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ‘বাঙালী জীবনে রমনী‘। নীরদ চৌধুরী ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে দাই হ্যান্ড, গ্রেট আনার্ক শীর্ষক নিজের জীবনের শেষভাগ নিয়ে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ব্রিটেনের রাণী ২য এলিজাবেথ কর্তৃক সম্মানিত হন এবং অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে নিজের শতবর্ষে সর্বশেষ বই হিসেবে ‘থ্রী হর্সম্যান অব দ্য নিউ এপোক্যালিপস’ প্রকাশ করেন। নীরদ চৌধুরী ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ‘দাই হ্যান্ড, গ্রেট আনার্ক’ শীর্ষক নিজের জীবনের শেষভাগ নিয়ে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. সম্মানে ভূষিত হন। একই বছর পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার ‘দাই হ্যান্ড, গ্রেট আনার্ক‘ বইটির জন্য। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটেনের রাণী ২য় এলিজাবেথ কর্তৃক সম্মানিত হন এবং ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে নিজের শতবর্ষে সর্বশেষ বই হিসেবে ‘থ্রী হর্সম্যান অব দ্য নিউ এপোক্যালিপস’ প্রকাশ করেন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত বিদ্যাসাগর পুরস্কার। ‘স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারী’ শীর্ষক ম্যাক্স মুলারের জীবনী লিখে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে নীরদচন্দ্র চৌধুরী ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।