নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে জ্বালানিতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত চাই

ক্যাবের মতবিনিময় সভায় বক্তারা

| রবিবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সুষ্ঠু নীতির মাধ্যমে জ্বালানি খাতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে জ্বালানির অধিকার মৌলিক অধিকারের রূপ পেয়েছে। এজন্য একটি পরিছন্ন সুষ্ঠু নীতিমালার বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) ডি-ব্লকে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রণীত খসড়া জ্বালানি নীতির ওপর নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্ঠা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, জনগনের পক্ষে জ্বালানি নীতিমালা দাবি হিসাবে আমরা প্রস্তাবনা করছি। এনার্জি ট্রানজেকশনে পরিবেশ সুরক্ষা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। স্বাধীন দেশে জ্বালানি সম্পদ রক্ষার জন্য সংগ্রাম বিরল। আমরা সেই সম্পদ রক্ষা করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম কমে নাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, জ্বালানি সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এই সমস্যার কারণে আজ আমাদের অধিকার লুণ্ঠনের স্বীকার। এলএনজি, সিএনজি খাতে বিশাল বিশাল কোম্পানি গড়ে উঠেছে। সেখানে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। ভোক্তাদের প্রণীত রাষ্ট্র যে দায়িত্ব সেটার নিশ্চিত করে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ইউএসটিসির ভিসি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার জ্বালানি আমি উৎপাদন করবো, সে অধিকার আমাকে দিতে হবে। শহরের লোকেরা যে বিদ্যুৎ, গ্রামের লোকেরাও সে সুবিধা যেন পায়। বিদ্যুতের অপচয়ের দায় কে নিবে? সেটাও দেখতে হবে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, বিদ্যুৎ শক্তি থাকবে। রিনিওয়েবল এনার্জি একমাত্র বাংলাদেশে সম্ভব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধসিআরবিতে বাণিজ্যিক স্থাপনা জনগণ মেনে নেবে না