বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ এর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রায় ১ যুগ পূর্বে জন্ম নেয়া ‘দৈনিক আজাদী’ আজ ৬৩ বছরে পদার্পণ করেছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্রেও কোনো পত্রিকা এতো দীর্ঘসময় এমন ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা নিয়ে টিকে থাকার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। একমাত্র কর্মপ্রচেষ্টা, দায়িত্ববোধ, আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ইত্যাদির কারণেই এ পত্রিকা এ পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অত্যন্ত সাহসিকতার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য না করায় এটি সম্ভব হয়েছে। এ পত্রিকার দিক নির্দেশনামূলক সম্পাদকীয় / সংবাদ পাঠান্তে দেশের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে অনেকেই প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন মর্মে প্রতীয়মান হয় এই কারণে যে, পত্রিকায় সম্পাদকীয়/সংবাদ প্রকাশের পরে বিশেষ করে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে নড়ে চড়ে বসে সাবধান হয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তড়িৎ গতিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়, পক্ষান্তরে পরামর্শসমূহ গ্রহণপূর্বক তৎভিত্তিতে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করায় দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। তাইতো গুণগত মানসম্মন্ন সংবাদপত্রকে বলা হয় জ্ঞানের ভাণ্ডার। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদপত্র জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা দৈনিক আজাদী প্রতিনিয়ত করছে মর্মে বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আজ এটি শুধু এ অঞ্চলের নয়, বাঙালি জাতির কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। তাইতো বিশেষ করে সংবাদপত্র বন্ধের দিন ভোরে দৈনিক আজাদী হাতে না পাওয়া মানেই হলো মনের অপূর্ণতায় সারাদিন গোলমালে যাওয়া। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পিছনেও এ পত্রিকার গর্ব করার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সাহসী লেখনীর মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মনোবল বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিশ্বের জনমত গঠনে অকল্পনীয় ভূমিকা রেখেছে। আজ শুধু চট্টগ্রামবাসী নয় ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সারা বিশ্বের কয়েক কোটি পাঠক নিয়মিত অনলাইনে দৈনিক আজাদী পাঠ করে তাদের মনের চাহিদা নিয়মিত পূরণ করছেন।