প্রতিদিনের মতো গতকালও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। দুপুরের পর থেকে তিনি নগরীর মুনির নগর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বন্দরকে একটি বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার উন্নত চট্টগ্রাম গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় মূল্যবান রায় প্রত্যাশা করছি। এর আগে তিনি টিএসপি কলোনি ক্লাবের সামনে পতেঙ্গা হালিশহর অঞ্চল শ্রমিক লীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এখানে তিনি বলেন, শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
গণসংযোগকালে তার সাথে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, দেবাশীষ পাল দেবু, কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী জাহাঙ্গীর আলম ও গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাত আরা বেগম ও আফরোজা কালাম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ। দুপুরে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এবং রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, গণমানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। নিয়ম-নীতি মেনে হকারদের পুনর্বাসন করা হবে। মেয়র নির্বাচিত হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বিশেষ প্রকল্প চালু করতে উদ্যোগ নেব। ফুটপাতে যারা ব্যবসা করে জীবিকা চালায় তাদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করবে সিটি কর্পোরেশন; যাতে হকাররা ব্যবসা করতে পারে এবং জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।
বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মোতালেব চৌধুরী, প্রবীর দাশ তপু, শওকত হোসেন, নুরুল আকবর, নুরুল করিম, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নিলু নাগ, শওকত হোসেন মুন্না, নাছির উদ্দিন, রফিকুল মন্নান জুয়েল, সজীব তালুকদার, নুরুল আলম লেদু, মো. কামাল হোসেন, খন্দকার মো. দেলোয়ার, আলমগীর ও জহির উদ্দিন।