স্বপ্নকল্পিত একটা শারদীয় আকাশ তোমাকে উপহার দিতেই পারি!
যেখানে সাজানো আদুরে কিশোরী শিউলি ফুলের নরম দুধসাদা প্রেম..
করবীগুচ্ছের নিচে নিশ্বাস বন্ধ করা একটা আস্ত মাতাল রাত্রি!
আলো–আঁধারের বাঁশঝাড়ে লাজুক পাখির ঘর!
কিন্তু তা আর হয়ে উঠলো না!
ভেবেই ভেবেই চলে গেলো ভুলে ভরা কাশের লহরী বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া!
সন্ন্যাসী হাওয়ায় ভোরের আগমনী গান আর ভেসে আসে না,
দিকচিহ্নহীন মেঘেদের এলোমেলো উড়াউড়ি নেই!
হলুদ ঘাসের উপর অন্তহীন হয়ে ছড়িয়ে আছে ঘুঘুর বাসা,
সর্বংসহা ধরিত্রীর বুকে মানবতার কফিন নাটক আজও মঞ্চস্থ হয় বারবার!
ভ্রান্ত যাপিত জীবন, অন্ধ প্রেম মানেই প্রবঞ্চনা।
তার চেয়ে ভালো, আমরা অপেক্ষা করবো সে অনাগত দিনের,
শরৎ সন্ধ্যায় কাশফুলের দোলানো পথে
সদ্য জন্ম নেয়া চাঁদের আলোর রথে,
রাত–বিরাতে ঘরছাড়া প্যাঁচার মতো বসে রইবো বিজনে!
এই জীবনের ভুল বসন্তের সময়গুলো শুধরে নেবো,
অমোঘ প্রস্থানের আগে
নদীর গায়ে লিখে দেবো নিসর্গ সুর!