দেড় মাসের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চাঙা হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর কয়েকদিন পর্যটক সমাগম কম থাকলেও সময়ের ব্যবধানে তা বেড়েছে। পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে ভালো ব্যবসা হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের।
সারা বছর পর্যটক সমাগম থাকলেও হেমন্ত ও শীতে পর্যটক সমাগম বাড়ে। পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, মায়াবিনী লেক, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেন পর্যটকরা। খাগড়াছড়ির পাশাপাশি সাজেকেও বেড়েছে পর্যটক সমাগম। সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রুইলুই ও কংলাক পাড়ার অধিকাংশ কটেজ ও রির্সোট বুকিং হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাহাড়ে বেড়াতে এসে খুশি পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে পর্যটক মেহেদী হাসান রুবেল, শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রায় দেড় পাহাড়ে ভ্রমণ বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বেড়াতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে। সাজেকে রাত যাপন করব। কাল খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র ঘুরব। হেমন্তে পাহাড় খুব সুন্দর থাকে। তাই বেড়ানোর এটাই ভালো সময়। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো। দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যটন মৌসুমে ভালো ব্যবসা হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের। বেসরকারি হোটেল অরন্য বিলাসের ব্যবস্থাপক আব্দুর রশীদ সাগর বলেন, দেড় মাস কোন পর্যটক ছিল না। আমাদের আয় একেবারে বন্ধ ছিল। পর্যটক আশায় ব্যবসা আবারো চাঙা হচ্ছে। প্রতিদিনই রুম বুকিং পাচ্ছি।
আসন্ন শীত মৌসুমে পর্যটকদের বরণ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইনচার্জ উত্তম কুমার মজুমদার।