নিলাম অযোগ্য ১৮৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস আগামী সপ্তাহে

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ মার্চ, ২০২২ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম কাস্টমসে আবারও শুরু হচ্ছে নিলাম অযোগ্য পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে ১৮৮ কন্টেনার বিভিন্ন ধরণের পণ্য ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ধ্বংসের স্থানও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসের নিজস্ব জায়গা না থাকার কারণে ধ্বংস কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ধ্বংস কার্যক্রম চালাতে আর্থিক সংকট রয়েছে বলেও জানান কাস্টমসের নিলাম শাখার কর্মকর্তারা।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, নগরীর উত্তর হালিশহরের বে টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হবে। ধ্বংসের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মার্চ। ধ্বংসযোগ্য ১৮৮ কন্টেনার পণ্যের তালিকায় রয়েছে-অ্যানিমেল ফিড, পেঁয়াজ, ফিস ফিড, কানাডিয়ান ক্যানুলা, মিট অ্যান্ড বোন মিল, আপেল, মাল্টা, ম্যান্ডারিন, মাছ, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীজ এবং লিকুইড ড্রিংকস।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এসব কন্টেনারের জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা উপ-কমিশনার মো. আলী রেজা হায়দার বলেন, স্থান নির্ধারণের জটিলতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা নিলাম কার্যক্রম চালাতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা স্থান নির্ধারণ করতে পেরেছি। আমরা সর্বশেষ একটি মিটিং করেছিলাম। মিটিংয়ে পণ্য ধ্বংসের জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২১ মার্চ। আশা করি আমরা দ্রুত ওই ১৮৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করতে পারবো।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত বছরের জুনে নগরীর উত্তর হালিশহরের বে টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় ২৯৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজানে কেমন হবে বাজার পরিস্থিতি
পরবর্তী নিবন্ধ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতের ঘোষণা দেবেন