ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রী রোকেয়া সুলতানা রুকুর আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। এবার তার পরিবার রুকুর স্বামী আব্দুল্লাহ আল কাউসারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকটও সহযোগিতা কামনা করেছেন। গতকাল বুধবার এসব বিষয়গুলো জানান ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই আল আমিন সরকার বিপুল। এর আগে গত শনিবার (৮ এপ্রিল) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী রোকেয়া সুলতানা রুকু। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভপাত, স্বামীর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে আসে। এ নিয়ে রুকুর স্বামী শারীরিকভাবে নির্যাতন করার খবরও পাওয়া যায়।
রোকেয়ার বড় ভাই আল আমিন বলেন, আমি প্রথমে স্বামীর দ্বারা নির্যাতন, গর্ভপাত এসব বিষয়ে জানতাম না। তাই আমরা প্রথমে কারো প্রতি কোনো অভিযোগ করিনি। কারণ ময়নাতদন্ত না করে বোনের মৃতদেহটা সহীহ সালামতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা গর্ভপাত ও স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের বিষয়ে জানতে পারি। যার ফলে কাউসারের উপর আমার সন্দেহ তৈরি হয়। সে কারণে আমি চাই আমার বোনের মৃত্যুর পেছনের আসল ঘটনাটা উদঘাটন হোক। এক্ষেত্রে কেউ যদি দোষী হয় তাহলে সে যেন শাস্তির আওতায় আসে।
এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। আমরা অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সবসময় থাকব। ভুক্তভোগীর পরিবার যদি এখন কোনো আইনী প্রক্রিয়ায় যেতে চায় তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করব।