সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী যথাযথ রয়েছে কী–না তা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় প্রেরণ করতে হতো ল্যাবে। এতে যথাসময়ে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ও হয়রানিরও ছিল। তবে এখন থেকে আর এখানে–ওখানে সুদূরে যেতে হবে না নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করতে। একেবারে দোরগোড়াতেই স্থাপন করা হয়েছে এই ল্যাব। এতে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সরকারি সকল দপ্তর এই ল্যাবের সুবিধা ভোগ করবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে নির্মাণসামগ্রীর পরীক্ষাকরণ ল্যাব তথা চকরিয়া উপজেলা মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরী। উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরীক্ষাকরণ ল্যাব উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। এলজিইডির ঢাকার সদর দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গতকাল সকালে একযোগে সারাদেশের ২৩০টি উপজেলায় এই ল্যাব উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাহাত আলম, এলজিইডি চকরিয়ার প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ–সহকারি প্রকৌশলী আল আমিন বিশ্বাস, সাংবাদিক ইবনে আমিন, এলজিইডির হিসাব কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী, দিদারুল ইসলাম সিকদার, ঠিকাদার প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম কাজল। এলজিইডি প্রকৌশলী বলেন, ‘এই ল্যাব স্থাপনের পর থেকে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সরকারি সকল দপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী এখানে পরীক্ষা করা যাবে।’ প্রাথমিকভাবে পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষে এই ল্যাব পরিচালনা করার কথা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘এই ল্যাব স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চকরিয়া। আগামীতে এই ল্যাবের জন্য আধুনিকমানের ভবন নির্মাণ করা হবে। এর আগ পর্যন্ত পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষে এই ল্যাবের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’