নির্মাণকাজ শেষের আগেই চরম্বায় সেতুর পিলারে ফাটল

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই সেতুর পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের নোয়ারবিলারাজঘাটা সংযোগ সড়কের করমুর ছড়ার উপর এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, ২০২৩২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ মাটির রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে আওতায় উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটা ওসমানাবাদ রোডে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজে প্রাক্কলিত মূল্য ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৫১ টাকা। যার দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ১৫ মিটার। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ। বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। স্থানীয়রা জানান, নোয়ারবিলারাজঘাটা সংযোগ সড়কের করমুর ছড়ার উপর নির্মিত সেতুটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। প্রায় ৩ মাস আগে ওই সেতু নির্মাণকাজ শুরু করেন ঠিকাদার। শুরু থেকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু এলাকাবাসী নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি দিয়ে আসছিলেন ঠিকাদার। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ মনির উদ্দিন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের করমুর ছড়ার উপর সেতু নির্মাণের জন্য অনেক দেনদরবার করেছি। প্রায় তিন মাস পূর্বে উক্ত সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় সময় কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা দেখাশুনাও করতাম। ইতোমধ্যে সেতুর উপরের অংশে ঢালাইও করা হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার (১০ জুন) সেতুর একপাশে পিলারে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। এতে সেতুর ওইপাশে প্রায় দুই ফুট দেবে গেছে। পরে বিষয়টি ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চরম্বা ইউপির ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য ও সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদার জসিম উদ্দিন জানান, প্রায় ১০ দিন আগে সেতুর উপরের অংশে ঢালাই দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুর উভয় পাশে ডাম্পট্রাক দিয়ে মাটি দেয়া হয়। এসময় ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় ও মাটির চাপে সেতুর একপাশে পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ নাহীদ আহম্মেদ জাকির জানান, নির্মাণাধীন সেতুর (বক্স কালভার্ট) পিলারে ফাটল হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঠিকাদার তিন মাস আগে সেতু নির্মাণের কাজটি শুরু করেন। এখনও ঠিকাদার কাজ হস্তান্তর করেন নাই। সেতুর পিলারে ফাটলের জন্য ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে। ঠিকাদারকে এখনো ওই কাজের সম্পূর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতিরিক্ত শর্করা খাবার পরিহারের পরামর্শ
পরবর্তী নিবন্ধমাঠের রাজনীতিবিদরা নেতাকর্মীদের মন থেকে হারিয়ে যায় না