জননন্দিত পত্রিকা দৈনিক আজাদী ৬৪ বছরে পদার্পণ করায় আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। ১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীর পথ চলা শুরু। চট্টগ্রাম থেকে যে কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে আজাদী অন্যতম। মরহুম ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খালেক, অধ্যাপক খালেদ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার জগতে পথিকৃত এই দুই মহান কীর্তিমান পুরুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজাদীর অন্তহীন যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা চাওয়া পাওয়ার দাবী দাওয়া প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ভাষা হচ্ছে আজাদী পত্রিকা। স্বাধীনতা পূর্ববতী ও স্বাধীনতা পরিবর্তি “দেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিচার করলে দৈনিক আজাদীর ভূমিকা অনন্য ও অন্যবদ্য। আলহাজ্ব আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের সুযোগ্য পুত্র জনাব এম এ মালেকের সম্পাদনায় ও পরিচালনা সম্পাদক জনাব ওয়াহিদ মালেকের সুচারু পরিচালনায় আজাদী এখন বিশ্বনন্দিত ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে। উত্তরণ ঘটেছে তথ্য ও প্রযুক্তির। ব্যবস্থাপনা হয়েছে আধুনিক। প্রকাশনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সেই আদর্শ ধরে রেখেছে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশ করে কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। আজাদী প্রতিভাকে সব সময় মূল্যায়ন করে। লেখার গুণগতমান যাচাইয়ে আজাদী আদর্শকে ধরে রেখেছে এবং পাঠকের মনজয় করেছে। কবি, প্রাবন্ধিক, লেখক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত বরেণ্য লেখক সৃষ্টিতে পত্রিকাটির ভূমিকা অপরিসীম। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জনস্বার্থ ইস্যুতে পত্রিকাটি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এটা সত্য যে, মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসা নিয়ে সুদীর্ঘকাল জনপ্রিয়তা টিকে থাকা আজাদী এক অন্য স্থাপন করেছে। দৈনিক আজাদী শহর, নগর, গ্রামীণ জনপদের সকল ধরনের সংবাদ, বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয়, খেলাধুলা, শিক্ষা সংস্কৃতি, সাহিত্য নৃত্য, আবৃত্তি বিশেষ করে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান গবেষণা, সেমিনার সিম্পোজিয়াম ইত্যকার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে থাকে। আজাদীর ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সম্পাদক এম. এ মালেক, পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক সহ সংশ্লিষ্ট কলা কুশলীদের প্রতি রইলো অভিনন্দন ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমরা প্রত্যাশা করি আজাদীর আগামী পথ চলা আরো সুন্দর হোক।