গত মে মাসের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা মধ্যে পড়েছে থাইল্যান্ড। এই অবস্থায় দেশটির স্ব–নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মঙ্গলবার(২২ আগস্ট) দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছে তার মেয়ে প্রাক্তন টেলিকমিউনিকেশন টাইকুন থাকসিন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় ছিলেন। পরে ২০০৮ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এই রাজনীতিক জেলের সাজা এড়াতে থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে স্ব–আরোপিত নির্বাসনে জীবনযাপন করছিলেন। শনিবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, থাকসিনের কনিষ্ঠ কন্যা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, মঙ্গলবার ২২ আগস্ট ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে তার বাবার সাথে দেখা করবেন। খবর বাংলানিউজের।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ২২ আগস্ট আরেকটি সংসদীয় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে থাকসিন–সমর্থিত ফেউ থাই পার্টির প্রার্থী জয় পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এর আগে ১০ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও মেডিকেল চেকআপের প্রয়োজনে প্রত্যাবর্তন স্থগিত করেছিলেন। দেশটির ডেপুটি পুলিশ প্রধান সুরাচাতে হাকপার্ন বলেছেন, ৭৪ বছর বয়সি থাকসিন দেশে ফিরলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন। যে কারণে ফিরে আসার পরেও তাকে জেলে থাকতে হবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, থাকসিনের প্রত্যাবর্তন ইঙ্গিত দেয় সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলির সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি সরকার গঠনের বিষয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সংগেও একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে থাকসিন–সমর্থিত ফেউ থাই পার্টি। থাই নির্বাচনে বিজয়ী মুভ ফরোয়ার্ড দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ভোটে হেরে গেলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফেউ থাই এই মাসে সরকার গঠনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিল।












