প্রচারণার ১৩তম দিনে গতকাল নগরের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ও ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি নির্বাচিত হলে নগরে বসবাসরত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসন সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্যে ডা. শাহাদাত বলেন, আপনারা দেশের জনগোষ্ঠীর একটি অংশ। এখানে ভাসমান, বস্তিবাসী ও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। যারা সুবিধা ও শিক্ষা বঞ্চিত। অতীতে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখানে পাহাড় ধস, সেনিটেশন, শিক্ষা, যাতায়াত ও বিভিন্ন সমস্যা দীর্ঘদিন বিরাজমান রয়েছে। নির্বাচিত হলে আপনাদের জন্য নিরাপদ আবাসনসহ অন্যান্য সমম্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব।
সকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন উত্তর পাহাড়তলীর ওয়ার্ডের ফয়’স লেক নুরিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে আব্দুল হামিদ সড়ক, আকবরশাহ, শহীদ লেইন, দুলালাবাদ, সিডিএ মার্কেট, ডিটি রোড, অলঙ্কার মোড়, আব্দুল আলী নগর, নেছারিয়া মাদ্রাসা, জাকির হোসেন রোড, মালিপাড়া, কৈবল্যধাম আশ্রম, পূর্ব ফিরোজশাহ, বিশ্বকলোনী, জানারখীল রেল গেইট চত্বর গিয়ে শেষ হয়। এরপর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে মোস্তফা হাকিম হাসপাতালের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। বশির মো. বাড়ি সড়ক, গার্লস স্কুল, হিন্দুপাড়া, চৌধুরী বাড়ী, বিশ্বাস পাড়া, কমিউনিটি সেন্টার মোড়, পন্ডিত বাড়ি, কর্ণেলহাট মোড়, সিডিএ আবাসিক, নিউ মনসুরাবাদ, আগ্রাপাড়া, নবাববাড়ি রেস্টুরেন্ট মোড়, মনসুরাবাদ উপল ক্লাবের সামনে শেষ হয়।
পথসভায় ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবনার জায়গা। এখানে রয়েছে ইতিহাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ স্মারক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও ফয়’স লেকসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। নির্বাচিত হলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার থাকার সময় পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল, ইউএসটিসি, চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনসহ ফয়’সলেক ও চিড়িয়াখানাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ না থাকায় এ শিল্পকে জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ করা যায়নি। এ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে চট্টগ্রাম পর্যটকদের স্বর্গভূমি বিবেচিত হতো। পর্যটন শিল্পকে জাতীয় আয়ের প্রধান খাত হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণকারী একটি দল। তারা দিনের ভোট রাতে নিয়ে সংসদে গিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বাকশাল কায়েম করেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট চোরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে জয়ী করতে হবে। তিনি বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে ডা. শাহাদাতের বিকল্প নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলের নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, উত্তর পাহাড়তলী ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার সেলিম, উত্তর কাট্টলী ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী রফিক উদ্দীন চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছকিনা বেগম, বিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা ইসহাক কাদের চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মাইনুদ্দিন চৌধুরী মাইনু, নূরুল আকবর কাজল, আলী আজম চৌধুরী, রেহান উদ্দীন প্রধান, বেলায়েত হোসেন বুলু, জমির আহমেদ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ফরিদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল ফেরদৌস, হাবিবুর রহমান মাসুম, শহীদুল্লাহ বাহার, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দীন নাহিদ, মাসুম চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ, মনজুর আলম, আলী আক্কাস, মো. আলাউদ্দীন, শওকত আলী বাবুল, নুর বক্স মিলন, মেজবাহ উদ্দিন, মো. ইউনুছ প্রমুখ।