চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়াডের্র উপনির্বাচন গত ৭ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমার একটি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জিত হলো। মনে হয় আমার মতো আরো অনেকেই এমন নতুন অভিজ্ঞতায় ধন্য হয়েছেন। তা হলো নির্বাচিত প্রার্থীরও জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া। কারণ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৪৪ নম্বর ধারায় “কোন প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ (আট ভাগের এক ভাগ) ভোটের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে” মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এখানে মোট ভোটার ৩২ হাজার ৪১ জন হলেও প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৯ শত ৩২, এর এক-অষ্টমাংশ ৮ শত ৬৬ আর বিজয়ী প্রার্থী মাত্র ৭ শত ৮৯ ভোট পেয়েছেন। কিছু কিছু নির্বাচনে ভোট ২০% এর কম পড়লেও বিজয়ী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো কম ভোট পাওয়ার খবর আমার জানা নেই। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিত নিশ্চিত হওয়ার কর্মকাণ্ডে নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী এবং ভোটারের স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভোটকে পবিত্র আমানত মনে করে এই আমানত নির্বিঘ্নে প্রয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে ভোট দেয়ার আগ্রহ। তখন প্রার্থীগণের মাঝেও ভোটারকে সম্মান সহকারে কেন্দ্রে নেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুকেও মনে রাখতে হবে যে, ওয়াডের্র মোট ভোটারের শতকরা মাত্র ২.৪৬ জন কর্তৃক তাকে ভোট দিয়ে পুরো ওয়ার্ডের গুরুদায়িত্ব তার কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছে এবং ২য় হওয়া আবদুর রউফের সঙ্গে তার ব্যবধান মাত্র ১৬ ভোট। এ দায়িত্ব সঠিক পন্থায় ন্যায় সংগত ভাবে পালন করলে এলাকার ভোটারগণ বিদায়ী কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর ন্যায় তাকেও বারংবার নির্বাচিত করতে মোটেও কার্পণ্য করবেন না, আর এর ব্যতিক্রম হলে জনগণের ঘৃণার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপিত হবেন, যা থেকে বর্তমানের সম্মানের স্থানে ফিরে আসা সম্ভব হবে না।