নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের

| বুধবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু ব্যক্তির বিভিন্ন রকম বক্তব্যের কারণে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, কিছুদিন যাবত আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবার ক্ষেত্রে সরকারের ভেতরে কিছু ব্যক্তির বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। যার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি দেশে আর কোনো অস্থিরতা দেখতে চায় না জানিয়েছে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে বহু অস্থিরতা হয়েছে। পলাতক স্বৈরাচার বাংলাদেশের অর্থনীতি বলুন, কৃষি বলুন, শিক্ষা ব্যবস্থা বলুন, স্বাস্থ্য বিচার ও নির্বাচনি ব্যবস্থা প্রত্যেকটি রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙেচুড়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চাই এখন দেশ গঠন করতে। দেশে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে। কারণ দেশকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হয়, সেজন্য দেশে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজের।

এই মুহূর্তে নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন, কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে, এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা দেখছি কিছু লোক, কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা কিছু সংখ্যক সংগঠন কথায় কথায় বলে ওঠে, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন ছাড়া কিছু বলছে না। কিন্তু বিএনপি তো একটি রাজনৈতিক দল, আমরা জনগণের শাসন বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা যেহেতু গণতন্ত্র বিশ্বাস করি, ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা ভোট এবং নির্বাচন চাইব। জনগণের কাছে ভোট চাইব, দেশের মধ্যে নির্বাচন চাইব। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।

বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, আমাদের প্রধান স্লোগান হচ্ছে জনগণই সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যদি আমরা গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করতে পারি, গণতন্ত্রের চর্চাকে অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে দেশ ও দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে সমর্থন করে এসেছি। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কারণ মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন সেই কাজগুলো করবে। এদেশের মানুষের কাছে রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে।

সম্মেলনে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এবং কুমিল্লা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে নগরের ২৭টি ওয়ার্ড থেকে দুই হাজার ৭২৭ জন কাউন্সিলর, চার হাজার প্রতিনিধিসহ অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাজিউর রহমান রাজিব নির্বাচিত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপহৃত ১ জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও ২ ভিকটিম উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধঅভিযানে গিয়ে ছিনতাইকারীর হামলায় দুই এসআই আহত