মিয়ানমারের সামরিক সরকার সমর্থিত প্রশাসন আসন্ন নির্বাচন পুরো দেশজুড়ে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে না বলে স্বীকার করেছেন দেশটির জান্তা প্রধান। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে এবং দেশের অনেক অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোতে জাতীয় আদশশুমারিই পরিচালনা করতে পারেনি দেশটির জান্তা সরকার। তাই অনুমিতভাবেই তারা সেসব এলাকায় নির্বাচনও করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এবার প্রকাশ্যে তারা তা স্বীকার করে নিল। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচন পুরোপুরি অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না, এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অঙ হ্লাইং। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েকদিনের মধ্যে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের জোট আসিয়ানের সম্মেলনের আগে তিনি এ মন্তব্য করলেন।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হ্লাইং বলেন, আমরা সব জায়গায় শতভাগ নির্বাচন করতে পারব না। তিনি জানান, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর কিছু এলাকায় উপ–নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক আদমশুমারি প্রতিবেদনে মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ১৩ লাখ বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশটির ৩৩০টি শহরের মধ্যে মাত্র ১৪৫টিতে জান্তা পুরোপুরিভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে শুমারি পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল। বাকি এলাকাগুলো বিদ্রোহীদের দখলে থাকায় সেগুলো আকাশপথে চালানো জরিপের মাধ্যমে শুমারির আওতায় আনা হয়েছিল।