দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিরোধীদলের মুখোমুখি অবস্থান দেশের মানুষকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মানুষ হত্যা, হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর তো অব্যাহতভাবে লেগেই রয়েছে। সহিংসতা মোকাবেলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও অসহায় হয়ে পড়েছে। মার খাচ্ছে পুলিশও। বর্তমান সংকটের মুলে রয়েছে নির্বাচন। সরকার পক্ষ বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিরোধী পক্ষ বলছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। সে নির্বাচন হতেও দেবেনা। সহিংস ও সংঘাতের রাজনীতি দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলছে। আমাদের দেশে হরতাল, ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এটি এখন প্রধান কর্মকান্ড। একটা সময় ছিলো যখন হরতালকে হাতিয়ার করে কিছু ফল পাওয়া যেত। কিন্তু একটা হাতিয়ার বার বার প্রয়োগ করলে তার কার্যকারিতা ক্ষুন্ন হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়। কিছু মানুষ হয়তো মিছিল ও হরতালের মাধ্যমে ফায়দা লুটে। কিন্তু এতে কেউ ভাবতে চায় না। এমনিতেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ কোথায়? তাই, সরকার ও বিরোধী দল এমন একটি দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করবেন যা বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত নয় শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে দেশকে এগিয়ে নেবে।
এম.এ. গফুর
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়,
কোরবাণী, চট্টগ্রাম।