নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে: ৮ দল

| সোমবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারের তিন উপদেষ্টার ‘মিসগাইডিং ভূমিকার কারণেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হচ্ছে না বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল; যারা বলছে, তাদের তিনটি দাবি এখনো পূরণ করা হয়নি। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা না হলে দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আট দলের তরফে বক্তব্য তুলে ধরেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। খবর বিডিনিউজের।

জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতি চালু, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুমনির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাএই পাঁচ দাবিতে কয়েক দফা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারের তিন উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছেন। এই ‘মিসগাইডিং’ ভূমিকার কারণেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হচ্ছে না বলে আট দল মনে করছে। আর সেই কারণেই জোট ঘোষণা দিয়েছেপ্রতিশ্রুত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পাওয়া না পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি চলবে।’ সব কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে সময়মতো আমরা তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার নামও বলব। আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে।’ গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারকে এখনই ৎসজাগ হতে হবে, নইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের বহু জায়গায় এখনো দলীয় পক্ষপাত চলছে। এর সঙ্গে তিন উপদেষ্টার প্রভাবপ্রতিপত্তি মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট দলীয় জোটের মত, এই অবস্থায় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, তার দায় সরকারের।’

জামায়াতের সাবেক এই এমপি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাই বলেই আমরা মাঠে আছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না এলে আমাদের কর্মসূচি থাকবে। “আমাদের মূল দাবি তিনটি এখনো পূরণ হয়নিলেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। ফ্যাসিবাদে দোষীদের বিচার হয়নি এবং প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাত রয়ে গেছে। এসব ইস্যুতে আট দলীয় জোটের স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে ঘোষণা দেবে।’

আন্দোলন নির্বাচনে কোনো বিঘ্ন ঘটাবে না, বরং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার পথ আরও পরিষ্কার করবে বলেও দাবি করেন তিনি।

জামায়াত ছাড়া আট দলের বাকি শরিকরা হলইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিজাগপার একাংশ ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬০তম চবি দিবস কাল
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬