যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জাতীয় জরিপগুলোতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে উভয়ের জরিপের ফল খুব কাছাকাছি। খবর বিডিনিউজের।
এবারের নির্বাচন প্রার্থীতার দিক থেকে প্রথমে ২০২০ সালের পুনরাবৃত্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রার্থীতার প্রতি সমর্থন জানান। এখন জনমনে বড় প্রশ্ন–যুক্তরাষ্ট্র কি তার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি দ্বিতীয়বারের মত ডনাল্ড ট্রাম্পকে পাবে?
জাতীয় নির্বাচনের জরিপে কে এগিয়ে? : বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষের দিকে নির্বাচনী দৌড়ে নামার পর থেকে হ্যারিস জাতীয় জরিপের গড় অনুযায়ী ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন। কমলা হ্যারিসের প্রচারণার প্রথম কয়েক সপ্তাহে হুট করেই তার জনসর্থন বেড়ে যায়। আগস্টের শেষের দিকে প্রায় চার শতাংশ বেশি জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর দুই প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বিতর্কের পরেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপের ব্যবধান তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। তবে গত কয়েক দিনের জরিপ বিবেচনা করলে দেখা যায় তাদের মধ্যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।
এই জাতীয় জরিপগুলো লক্ষ্য করলে বোঝা যায় সামগ্রিকভাবে সারা দেশে একজন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কতটা, কিন্তু জরিপগুলো জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হলেও এটা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়ার সঠিক উপায় নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে একটি ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে একদল কর্মকর্তাকে নির্বাচিত করে থাকেন, তাদের বলা হয় ইলেকটর। এই ইলেকটররাই নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। একটি রাজ্যের ইলেকটরদের একসঙ্গে ইলেকটোরাল কলেজ বলা হয়। ৫০টি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি। এই ইলেকটোরাল কলেজই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে।