পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। তার আগেই দেশটিতে জায়গায় জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা। বিস্ফোরণগুলোতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলুচিস্তানের বিভিন্ন শহরে হাতবোমা বিস্ফোরণে পিপিপি কর্মীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে করাচির প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশন (পিইসি) কার্যালয়ের কাছেও।
এদিন কালাত শহরের মুঘলসরাই এলাকায় অজ্ঞাত একজন মোটরসাইকেল আরোহী পিপিপির নির্বাচনী কার্যালয় লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেটি বিস্ফোরিত হলে তিনজন পিপিপি কর্মী আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার কোয়েটার পূর্ব বাইপাস এলাকায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।
অজ্ঞাত হামলাকারীরা একটি হাতবোমা নিক্ষেপ করলে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। বোমাটি একজন প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। এতে চারজন আহত হন। প্রথম ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। তবে সেখানে কেউ হতাহত হননি।
এদিন হামলা চালানো হয়েছে করাচির প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়েও। রাতে পিইসি কার্যালয়ের বাইরে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক
র্কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে বিস্ফোরক ভরে কমিশনের পার্কিং এলাকায় রেখে গিয়েছিল। একজন পরিচ্ছন্নকর্মী ব্যাগটি তুলে একটু দূরে নিয়ে ছুড়ে ফেলেন। আঘাতের ফলে ব্যাগে থাকা বোমার ফিউজ বিস্ফোরিত হয়। তবে টাইম ডিভাইস সক্রিয় না থাকায় বিস্ফোরক পদার্থগুলো বিস্ফোরিত হয়নি।