যারা নির্বাচনকে ‘ভয়’ পায় তাদের রাজনীতি করা ‘উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল রোববার বিকালে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই। তারা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করুক, তারা এনজিও হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনি রাজনীতিও করবেন, আবার নির্বাচনেও যাবেন না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন, এটা তো হতে পারে না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ খবর বিডিনিউজের।
আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব দেশে এ ধরনের বিপ্লব হয়েছে এবং সে দেশগুলোর মধ্যে যেখানে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা হয়েছে, সেখানে বিভাজন হয়েছে, গৃহযুদ্ধ হয়েছে, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ওইসব দেশের মধ্যে যারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পেরেছে, তারা আর্থিক, সামাজিক ও গণতান্ত্রিকভাবে ভালো করেছে।’ আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল, সবকিছুতে ঐকমত্য হবে না। তবে জাতীয় ইস্যুতে আমাদের ঐকমত্য থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ, চিন্তা, দর্শন আলাদা। ভিন্নমত থাকতে পারে, একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে।’ সাংঘর্ষিক রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিমত থাকবে, কিন্তু শ্রদ্ধা থাকতে হবে। ভিন্নমত বা মত পার্থক্য না থাকলে তো গণতন্ত্র হবে না। একদলীয় শাসন, বাকশাল করতে আমরা বসিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমার কথা শুনলে নির্বাচন মানব, না শুনলে নির্বাচনে যাব না। এটা অগণতান্ত্রিক আচরণ। গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনাও যা বলত, তাই মানতে হত। আমাদের কোনো অধিকার ছিল না।’
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে যৌথভাবে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ।










