চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে আমি ৫-৬ টা ওয়ার্ড ঘুরেছি। এছাড়া নিজেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি। একইভাবে বিএনপির নেতা কর্মীরাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তারা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আমরা বিশ্বাস করি-গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল অংশই হচ্ছে জনগণ। জনগণ যতবেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যত আসবে, গণতন্ত্র ততবেশি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসেঙ্গ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করছি এবং আওয়ামী লীগ একটি নির্বাচনী দল। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে তাদের এখানে একটা এজেন্ডা আছে। তাদের বের করে দেয়া হচ্ছে কথাটি সঠিক নয়। তারা অসত্য বলছেন। বরং আমি দামপাড়া পুলিশ লাইন কেন্দ্রে নিজে দেখেছি-আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের ছেলে তানভির ফয়সাল ইভানকে বিএনপির বহিরাগতরা এসে আক্রমণ করেছে। এছাড়া চান্দগাঁও মৌলভীপুকুর পাড় সানশাইন স্কুল কেন্দ্রে বিএনপি বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী রুবেল, মোরশেদ, জসিম এবং খোকন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে আমাদের কর্র্মীদের আহত করেছে। আমরা যদি আক্রমণাত্মক থাকতাম, তাহলে তো মার খেতাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে গণতান্ত্রিক দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকল উৎসের আঁধার হচ্ছে জনগণ। ভোটের মধ্যে যেকোনো কিছু পরিবর্তন সম্ভব, অন্যভাবে সম্ভব না বিধায় আমরা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দলীয় প্রার্থী যেমন আছে, আবার দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হয়েছেন এমনও আছে। হয়তো দু’একটি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটা হতে পারে। তবে আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে।