যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেন। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করছে প্রশাসন। ভোটের মাঠে এবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নজিরবিহীন নিরাপত্তা দেবেন বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন সম্ভাব্য সব ধরনের সংঘাত ঠেকাতে প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির পুলিশ বিভাগ।
এছাড়া ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, উত্তেজনা ও সংঘাত মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সবাই ধরে নিচ্ছে এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে তীব্র অনিশ্চয়তার। লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-প্রধান অ্যান্ড্রু ওয়ালশের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আধুনিক সময়ে এমন কিছু আমরা দেখেছি বলে মনে হয় না।’
এর মধ্যেই পরিকল্পিত মহড়া এবং আগাম ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ছাড়া যদি দ্রুত ভোটের ফল জানা না যায় বা ফলাফল নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয় তাহলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের পরিকল্পনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত কাজ। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছরের প্রস্তুতিতে অস্বাভাবিক তীব্রতা যোগ করতে হচ্ছে। কারণ দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা, ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া আমেরিকার আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনের ফল নিয়ে সংঘাত বাধার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই প্রায় ১০ কোটি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। এই আগাম ভোটের প্রক্রিয়ায় উত্তেজনা তৈরি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এসেছে অনেক। এগুলো মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাস্তবায়ন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা নির্বাচনকেন্দ্রিক সময়কে তিনটি স্বতন্ত্র ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান অ্যান্ড্রু ওয়ালশ। প্রথমত, আগাম ভোটের সময়কাল। এ সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে এবং বিভক্তি ও কোন্দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় হচ্ছে নির্বাচনের দিন। ওইদিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় ও জমায়েত হবে। এই সুযোগে যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে আসছে সবচেয়ে অনিশ্চয়তার সময়।