আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় ধার্য সময়ে এক সাক্ষীর জেরা (আসামি পক্ষের জেরা) রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালত কক্ষে হাজির না থাকায় এ জেরা রেকর্ড সম্ভব হয়নি। গতকাল তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে হাজির ছিলেন শেখ মোহাম্মদ মোস্তাইন নামের ওই সাক্ষী। তিনি মিতু খুনের আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার আত্মীয় কাজী আল মামুনের পরিচিতজন। গত বুধবার কাজী আল মামুনের দেয়া সাক্ষ্যে উঠে আসে, তিনি মোস্তাইনের বিকাশ দোকানের বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে মুছার জন্য পাঠানো টাকা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ বলেন, মুছার আত্মীয় কাজী আল মামুনের অসমাপ্ত জেরা শেষে বিকাল তিনটায় বিকাশ দোকানদার মোস্তাইনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা করার কথা। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীরা হাজির ছিলেন না। একজন জুনিয়রকে পাঠালেও তিনি জেরা করতে সক্ষম নন।
একপর্যায়ে ওই জুনিয়র আইনজীবী জেরা করার জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা না–মঞ্জুর করেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান কেশব নাথ। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ বলেন, মোস্তাইন নামের সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে জেরার করার কথা ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অন্য আদালতে ব্যস্ত থাকায় হাজির থাকতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতু খুন হন।