নির্দলীয় সরকার ছাড়া এবার দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে আবারও জোরালোভাবে বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলে অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। খবর বিডিনিউজের।
জনগণকে ‘ভয় দেখিয়ে’ নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে সরকার কৌশল করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আবার তারা ওই রাতের অন্ধকার না, এবার তারা নতুন নতুন কৌশল করেছে। সব ডিসি–এসপি তারা তাদের পছন্দমত নিয়োগ দিচ্ছে। উদ্দেশ্য কি? এরা দিনের আলোয় কৌশল করে, সিল মেরে আবার নিয়ে যাবে। কিন্তু বন্ধুগণ-‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান– এবার আর সেটা হবে না। এবার এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া।’ শুধু বিএনপি নয়, ৩৬টি দল যুগপৎভাবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সেজন্য কী চাই? অবিলম্বে এই শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’’ সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে এবার ঢাকায় মহাসমাবেশের নতুন কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি ও সমমনা জোটের সরকার হটানোর আন্দোলনের যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ‘শান্তিপূর্ণ’ এ মহাসমাবেশ বলে ঘোষণা দেন তিনি। বিএনপি ছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম–পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবারপার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিরোধী বিভিন্ন জোট নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব সমপ্রতি ঢাকা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়, যা অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ‘১০টা আসনও’ পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করুন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুনভাবে নির্বাচন করুন।’
এদিন ঢাকার এ সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে ঢাকাসহ তা আশপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসতে থাকেন। তাদের অংশগ্রহণের পুরো উদ্যোন ভরে যায়। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশন, শাহবাগ ও মৎস্যভবনেরে সড়কেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন কর্মীরা। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে পুরো এলাকায় তীব্র যানজট দেখা যায়। এর প্রভাব পড়ে অন্যান্য সংযোগ সড়কসহ ঢাকার বড় এলাকাজুড়েই।