নির্ঘুম রাত পার, ভোরে খুঁজতে বের হয়েছেন নিখোঁজ ছেলেকে

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ফিরছিলেন বাবা সমীর। তবে কুমিরা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট উত্তাল সাগর পার হয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের সন্নিকটে এলে ঘটে দুর্ঘটনা। জেলেদের জালে আটকে যায় স্পিডবোটের ইঞ্জিন। একপর্যায়ে বোটটি উল্টে যায়। এ সময় সমীর তার স্ত্রী-মেয়েসহ অন্য অনেক যাত্রীদের কূলে তুলে আনতে পারলেও হারিয়ে ফেলেন ছেলে সৈকতকে।

এরপর পুরোদিন অনেক খোঁজাখুজি করেও সন্ধান মেলেনি তার ছেলের। পার হয় নির্ঘুম রাত। গতকাল এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে অভিযান চালায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম। তাদের সাথে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজতে গুপ্তছড়া ঘাটে নেমে পড়েন বাবা সমীর। অন্যদিকে এ দুর্ঘটনায় তিন মেয়েকে হারিয়ে পাগল প্রায় পান্না বেগম। গত বুধবার বড় মেয়ে আনিকার মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে তার ছোট যমজ দুই মেয়ে।

এক সাথে এত বড় আঘাত পেয়ে অনবরত কেঁদে যাচ্ছেন তিনি। বারবার ছুঁটে যাচ্ছেন ঘটনাস্থল গুপ্তছড়া ঘাটে। জানা যায়, পান্না বেগমের স্বামী ওমান প্রবাসী আলাউদ্দিন ছুটি কাটিয়ে কয়েকদিন আগে ফের প্রবাসে পাড়ি জমান। মূলত বাবাকে বিদায় জানাতে চট্টগ্রাম এসেছিল তিন মেয়ে। কিন্তু গত বুধবারের এ দুর্ঘটনায় বড় মেয়ের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ রয়েছে ছোট যমজ দুই বোন।

নিখোঁজ শিশু সৈকতের বাড়ি উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুল আউয়াল সুকানির বাড়ি। তবে স্থানীয়ভাবে এটি সেকান্নার কোম্পানির বাড়ি নামে পরিচিত। অন্যদিকে নিহত আনিকা ও নিখোঁজ যমজ দুই শিশুর বাড়ি একই ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানির বাড়ি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ ৩ শিশুর
পরবর্তী নিবন্ধসিমনি শিপ ইয়ার্ডে ডাকাতির ঘটনায় মামলা রেকর্ডের নির্দেশ আদালতের