নিরুপায় হয়ে ‘সুদে’ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিল ইসলামী ব্যাংক

| মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) হার সংরক্ষণে ঘাটতিতে পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আট হাজার কোটি টাকা ধার নেয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ; যেজন্য ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ গুনতে হয় ব্যাংকটিকে। আমানত কমে আসায় তারল্য সংকটের কারণে গত ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বছরের সবশেষ কার্যদিবসে শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি ‘ডিমান্ড প্রমিজরি নোট’ এর বিপরীতে বিশেষ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ পরিমাণ অর্থ নিয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, সিআরআর ও এসএলআর জমার হার সংরক্ষণে ঘাটতির কারণে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশকে (আইবিবিএল) টাকা ধার দেওয়া হয়েছিল। পরের কার্যদিবসেই সেই আট হাজার কোটি টাকা ব্যাংকটি সমন্বয় করেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম না মেনে বড় অঙ্কের ঋণ দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় আসা শরীয়াহভিত্তিক আইবিবিএল বেশ কিছুদিন থেকেই তারল্য সংকটে পড়েছে।

এটিসহ ফার্স সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষকও বসায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ অনিয়ম ও পর্যবেক্ষক বসানোর খবর প্রকাশের পর গুজব ও গুঞ্জনে গ্রাহকরা আইবিবিএল থেকে আমানত তুলে নিতে থাকলে তারল্য সংকট দেখা দেয়। এতে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে গিয়ে চাপে পড়ে ব্যাংকটি। পরে বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সুদভিত্তিক ঋণ নিতে আবেদন করে ব্যাংকটি, যা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করে।

এ বিষয়ে আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মাওলার কার্যালয়ে গিয়ে এবং একাধিকবার ফোনে ও এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে মোট আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদে দৈনিক নূন্যতম ৩ শতাংশ এবং দ্বি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৪ শতাংশ হারে সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) রাখতে হয়।

এছাড়া আমানতের সাড়ে ৫ শতাংশ রাখতে হয় ‘বিশেষ বিধিবদ্ধ জমা- এসএলআর’ হিসেবে। এ দুই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানার মুখে পড়তে হয় ব্যাংকগুলোকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদক উদ্ধার মামলায় একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক চৌধুরী জহুরুল হকের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ