নিরাপদ হোক ঈদ যাত্রা

রতন কুমার তুরী | মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

আর কদিন পরেই অসংখ্য মানুষ পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে নিজেদের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। ঈদের আগে বলতে গেলে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মত বিভাগীয় শহরগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে যাবে। নিরাপদে ঈদ যাত্রার জন্য ইতিমধ্যে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আগাম টিকিট বিক্রি করেছে এবং দূরপাল্লার পরিবহনগুলো তাদের টিকিট সমূহ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।

পানিপথে লঞ্চগুলোও তাদের যাত্রীসেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবুও ঈদের দুই তিন আগে সড়কপথ, রেলপথ এবং পানিপথে যাত্রীসাধারণের ভিড় বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে কারণ দেশের অসংখ্য মানুষ ঈদের দুই কিংবা তিন দিন আগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার জন্য বসে থাকে ফলে সড়কপথ সমূহে এই ভিড়, বেশি করে লক্ষ করা যায়।

প্রকৃতপক্ষে রোজার ঈদে অসংখ্য মানুষ শহর থেকে গ্রামে পাড়ি দেয় বলেই রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই ভিড় পরিলক্ষিত হয় আর এই অধীক সংখ্যক মানুষের ভিড় সামলাতে প্রশাসনকে অনেকবেশি হিমশিম খেতে হয়। এর ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে আর এতে করে অনেক মানুষের জীবন হানি ঘটে। মূলত নিরাপদ ঈদযাত্রার জন্য চাই নিরাপদ সড়ক। সড়কে শৃঙ্খলা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। আমাদের দেশের সড়কগুলো বেশিরভাগই গড়ে উঠেছে পরিকল্পনাহীনভাবে ফলে অনেক সড়কই এখন তেমন প্রশস্ত নয় ফলে একটা কিংবা দুই গাড়ি চলতে পারলেও অনেক সময় এগুলো রাস্তায় তাদের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা ফলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। তাছাড়া বেশিরভাগ সড়কে ঈদের সময় অপেক্ষাকৃত অদক্ষ চালক হেলফাররা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয় ফলে অনেকক্ষেত্রের এদের অবহেলার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। এর বাইরে ঈদের সময় চালকদের মধ্যো কার আগে কে গন্তব্যে পৌঁছে আবার ভাড়া জন্য গাড়ি খালি করবে সে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় যার ফলে পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এমন খুশির ঈদ যাত্রায় আমরা প্রত্যাশা করবো চালক হেলফাররা যেনো যথাযথভাবে পেশাদারিত্বে সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে এবং নিরাপদে যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

এই ঈদে সড়কপথে যাতে যাত্রীদের কোনো বিড়ম্বনা র শিকার হতে না হয় সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। এবারের ঈদযাত্রায় সবাই যেনো নিরাপদে বাড়ি গিয়ে আবার নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারে সেই প্রত্যাশাই রইলো।

লেখক : কলেজ শিক্ষক, প্রাবন্ধিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাছ লাগান, তাপমাত্রা কমবে!
পরবর্তী নিবন্ধগ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ও গ্রামীণ বাস্তবতা