বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের দেশ হিসাবেও বিবেচিত হচ্ছ। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা এত বেড়েছে দেশের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ। এমন কোনো দিন নেই যে পত্রিকাগুলোতে ভয়াবহ সব সচিত্র সড়ক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হচ্ছে না। তখন ছোট্ট বুকটা ভয়ে কুঁকড়ে মরে। এসব দুর্ঘটনা দেখতে দেখতে মনের কোণে ভয়ঙ্কর জঠিলতা।
ওই যে বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। আমিও সড়ক দুর্ঘটনা থেকে নিস্তার পেলাম না।
শহরের প্রায়ই রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এক সময় চলার রিঙা রাস্তার খাদে পড়ে এমন অবস্থা আমার। তখন উঠার শক্তি সাহস যেন হারিয়ে ফেলি। নির্বাক অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। সাহস পাইনি দাঁড়াবার। সেদিন থেকে ডান হাতের হাড় ফেটে যায়। তখন আমি ভেবেছি আর কোনোদিন লিখতে পারব না, কাজও করতে পারব না। আল্লাহ্র অশেষ দয়াতে সেদিন বেঁচে যাই। এসব দুর্ঘটনায় অনেকে প্রাণ হারায়, আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অনেককে। তাঁদের পরিবার ও তাঁদের অবস্থার কথা একবার ভাবুন। চালকরা মদপান অবস্থায় অনেকে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে দেখা যায়। মালিক সমিতির লোক অদক্ষতা ড্রাইভার নিয়োগ করে ঘুষ নিয়ে পুরানো গাড়ি, অদক্ষ ড্রাইভার ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি তারা রাস্তায় নামায় এরা ও সমান অপরাধী। সরকারের পক্ষ থেকে কঠিন আইন জারি করতে হবে। দ্রুত গাড়ি চালানো বিপদজনক। অনির্দিষ্ট স্থানে যাত্রীদের গাড়িতে উঠানামার জন্য বাস থামলেও নামার সময় বাস থামাতে চান না চালকরা। আর এইভাবে চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে আঘাত ও মৃত্যুবরণ করেন অনেকে। রাস্তায় যানযট মুক্ত রাখায় পুলিশকে আরো সচেতন হতে হবে। কোনো দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভাঙচুর অবরোধ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এটা সমাস্যার সমাধান নয় এটা দেশের ও জনগণের ক্ষতি নিরাপদ সড়ক স্বপ্ন বাস্তবতা কবে পূরণ হবে। সেটা জনগণের দাবি।
এসব দুর্ঘটনা সহজে এড়ানো সম্ভব। সচেতন না হলে দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে। সরকার ও জনগণের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।