নগরীর বাকলিয়ার বউবাজার এলাকার সুবর্ণ আবাসিকের ‘নিরাপদ প্রসব সেন্টার’ নামের ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় ক্লিনিকটির পরিচালক শাহাদাত হোসেনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ অনুযায়ী তাকে এই কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। এছাড়া ক্লিনিকটির ধাত্রী ও শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী ফাহিমা আকতারকে আটক করা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারের উপস্থিতি ব্যাতীত নিজে অপারেশন বা নরমাল ডেলিভারি করতেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী এবং বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি অবৈধ এ ক্লিনিকটিতে নরমাল ডেলিভারি করানোর পর জান্নাতুল ফেরদৌস নিহা (২২) নামের একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঘটে। গণমাধ্যম থেকেই আমরা বিষয়টি জানতে পারি। একপর্যায়ে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
ক্লিনিক পরিচালনাকারী শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী ফাহিমা আকতার ডাক্তার কিনা জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, তারা কেউ ডাক্তার নন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আমরা শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছি। চট্টগ্রামের কোন জায়গায় এরকম অবৈধ হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। যেখানেই তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে।











