নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে টেকনাফ সীমান্তের দুই গ্রামের মানুষ

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারের সীমান্তে ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। এই গোলাগুলির শব্দ আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকায়। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ৫০০ পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা এখন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছে।

গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী। তিনি দাবি করেন, তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সীমান্তের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। খারাংগাগুনা ও উলুবনিয়া গ্রামের ৫০০ মানুষ ঝুঁকিতে আছে। তাদের পরিবারের শিশুরা রাতে গুলির শব্দ শুনে ভয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। পরিস্থিতি বুঝে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, গতকাল সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফ নদের তীরে খুব গোলাগুলি হচ্ছে। এতে এখানকার লোকজন ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে। এই সীমান্তে গোলাগুলির কারণে ভয় আরও বেড়েছে।

সীমান্তে বসবাসকারী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গোলাগুলির বিকট শব্দে এপারের লোকজন আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। হোয়াইক্যংয়ের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার মানুষ ভয়ের মধ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের তালিকা তৈরি করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, এই সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়িঘরে থাকতে পারছি না। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে একটি গুলি এসে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই সীমান্তের ওপারে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে অনিরাপদ মনে করছি। সন্তান নিয়ে রাতে ও দিনে সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কানজরপাড়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারে সপ্তাহজুড়ে চলছে প্রচুর গোলাগুলি। ভয়ে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারছি না। চিংড়িঘেরেও যেতে পারছি না। সীমান্তের ওপারে ফায়ার চলাচলের সময় একটি গুলি এপারে উলুবনিয়ার নুরুল ইসলামের বসতঘরে এসে পড়ে। এখনো সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসতর্ক আছি, মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগেও আছি : হাছান
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি, নাইক্ষ্যংছড়ির ৫ স্কুল একদিন বন্ধ