দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ নেওয়া হয়েছে বহুমুখী নিরাপত্তা পরিকল্পনা।
গতকাল রবিবার বিকেলে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে চাকসু নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী ও উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানান, নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রতিটি ভবনের ডিনকে রিটার্নিং অফিসার এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর থেকে ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অবস্থান করতে পারবে; বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে ট্রান্সপোর্ট ও ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুইটি করে নিরাপত্তা টিম।
উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৬ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচন আয়োজন করছি। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নির্বাচন যেন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হয়, সেটি নিশ্চিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।