‘জনস্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ’ মনে হওয়ায় দেশের বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের একটি ব্যাচ প্রত্যাহার করে নিতে নেসলে বাংলাদেশকে আদেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিশেষ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথী এ আদেশ দেন। সরকারি খাদ্য পরীক্ষাগারের ফল তুলে ধরে আবেদনে কামরুল হাসান বলেছেন, কিটক্যাটের ‘ফোর–ফিঙ্গার ওয়েফার’ চকলেটের ব্যাচটি ‘নিম্নমান’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। তিনি বলেন, সনদবিহীন ও মানহীন এই চকলেট জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য আদালত কোম্পানিকে আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে চকলেট প্রত্যাহার করে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে। কামরুল হাসান তার আবেদনে বাংলাদেশে কিটক্যাট চকলেট আমদানি ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞার আবেদনও করেন। তবে আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি। ‘নিম্নমানের’ চকলেট সরবরাহের অভিযোগে গত ২৪ নভেম্বর একটি মামলা করেন কামরুল হাসান। এতে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবে বিক্রমা ও পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানকে আসামি করা হয়। আদালতের নথি অনুযায়ী, নেসলে বাংলাদেশকে ‘৪৪৩৯৯১৩৯’ নম্বর ব্যাচের চকলেট প্রত্যাহার করে নিতে হবে, যার উৎপাদন ব্যাচ নম্বর ‘৬২৯৪০০৩৫৩৯০৫৪’।
এই ব্যাচের চকলেট উৎপাদিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে, চলতি বছরের মে মাসে। আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এসব চকলেটের মেয়াদ রয়েছে।












