বর্তমানে বিভিন্ন কারণে অধিকাংশ আপ্যায়নের আয়োজন কমিউনিটি সেন্টার/ ক্লাব ইত্যাদিতে করা হয়। ইদানীং এসব অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ ব্যতীত লোকজনের আনাগোনা তথা ভুড়িভোজের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এরা খাওয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো দমে ‘বাবু’ সেজে পেট ভরে খেয়ে বিদায় নেয়। আবার মাঝে মধ্যে একজনের নিমন্ত্রণে সঙ্গে আরো কয়েকজন নিয়ে এসে খাওয়ার বদঅভ্যাসও অনেকের মাঝে দেখা যায়।পরবর্তীতে খানা ঘাটতির কারণে আমন্ত্রিত অতিথিদের তৎক্ষণাৎ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে আয়োজকদের হিমসিম খেতে হয়। বিভিন্ন ঝক্কি ঝামেলার মধ্যে অবশিষ্ট অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও তাদের বিলম্বে আপ্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আয়োজকদের একদিকে অপমানের সম্মুখীন হতে হয় অন্যদিকে অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা কাঁধে নিতে হয়। অথচ প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রত্যেক ধর্মেই নিমন্ত্রণ ব্যতীত খাওয়াকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পরকালে জবাবদিহীতার কথাও উল্লেখ রয়েছে। অবৈধ পন্থায় এক বেলা খাওয়া যেমন অমানবিক তেমনি এমন হীনকর্ম সাধন করে অন্যকে অপমানের মুখোমুখি করা কোন বিবেকবানের কাজ হতে পারে না। এমন অপকর্ম হতে আমাদের সকলকেই সজাগ থাকা প্রয়োজন, অন্যথায় দোষী ব্যক্তিকে অবশ্যই কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।