দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সরকার সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের ‘স্টিম রোলার’ চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি এস এম জিলানী। নির্যাতন নিপীড়নের পরও জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে আবারো জেগে উঠতে হবে। রাজপথ প্রকম্পিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াসিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। সঞ্চালনা করেন নগরের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু। রাজীব আহসান বলেন, চট্টগ্রামের সাথে জাতীয়তাবাদী দলের, জাতীয়তাবাদী শক্তির এবং আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী জিয়া পরিবারের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর স্বপ্ন হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের সৈনিকদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এই লড়াই হলো চূড়ান্ত লড়াই, যার মাধ্যমে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। এইচ এম রাশেদ খান বলেন, আমাদের সমস্ত শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নামতে পারলে সরকার ক্ষমতার মসনদ থেকে পালাতে বাধ্য হবে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, মো. ইউসুফ, খায়রুল আলম দিপু, মুজিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, হাজী মোহাম্মদ আলম, এন. আই চৌধুরী মাসুম, এম. এ সালাম, এ্যাড. নাসির উদ্দিন আহমদ খান রনি, হারুনুর রশিদ, আলী মর্তুজা, জমির উদ্দিন নাহিদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, মোহাম্মদ ওয়াাকিল হোসেন, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, হাজী মোহাম্মদ আলম, আব্দুল আহাদ রিপন, তারেক আহম্মেদ, আব্দুল হাই, আবু নাঈম মোহাম্মদ দুলাল, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।