নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে নজরদারি করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে কাজীর দেউড়ি, ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বহদ্দারহাট, চকবাজার ও দেওয়ানহাট এলাকার বাজার নজরদারি করার সময় শিক্ষার্থীরা রশিদ চেক করে পাইকারি ও খুচরা মূল্যের পার্থক্য দেখেন। বাজার নজরদারির নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বাজার মনিটরিং কমিটির (শিক্ষার্থী) সমন্বয়ক সাইদ খান সাগর। তিনি জানান, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই আলোকে জনজীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয় সমূহের যথাযথ তদারকি এবং কোনো অবস্থাতেই যাতে দেশকে অস্থিতিশীল করা না যায় তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যবিত্তশ্রেণী নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছিল। আমরা চাই তা যেন কমে আসে। এ সময় বিগত কয়েকদিনে দ্রব্যমূল্যের দাম কমে আসায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন। তার সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজী ছদরুল্লাহ, বিন ইয়ামিন অনি, আকিবুল ইসলাম জিশাদ, নাবিল বিন সৈয়দ সহ বাজার মনিটরিং কমিটির অন্য সদস্যরাও।
অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রামের বিশেষ বাজার ভিত্তিক প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বহদ্দারহাট সিটি করপোরেশন কাঁচা বাজারে আয়োজিত কর্মসূচিতে ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় এ বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, তানিয়া সুলতানা, এমদাদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নিত্যপণ্য ও ওষুধের বাজারে ভোক্তারা বিগত ১৫ বছর অনেকটাই জিম্মি ছিলেন। আর এ সুযোগে বিগত সরকারের কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট করে পুরো দেশের মানুষের পকেট কেটে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। ছাত্র–জনতার কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ীরা বিগত সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন যাতে তাদের এই অবৈধ মুনাফায় যেন কোনো ছেদ না পড়ে।