ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নে অবস্থিত সালদানদী গ্যাসক্ষেত্র। এটি বাংলাদেশের ১৯তম গ্যাসক্ষেত্র। ২০০১ সাল থেকে এ গ্যাসক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এত বছর পরও নিজ অঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র থাকার পরও এলাকার মানুষজন গ্যাস থেকে বঞ্চিত। বেশ কয়েকবার এলাকাবাসী দাবি করার পরও কসবা উপজেলায় দেওয়া হয়নি সরকারি গ্যাসলাইন। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বর্ডারের কয়েশ গজের মধ্যেই গড়ে তোলেছে ভারতের গ্যাসক্ষেত্রের কারখানা। অনুমান করা হচ্ছে, সালদানদী গ্যাসক্ষেত্র থেকেই কৌশলগত উপায়ে ভারত সরকার গ্যাস উত্তোলন করে যাচ্ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন করা হয় প্রায় ২.৫মিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ হয় ৯৮.৮১ বিসিএফ। মোট ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদন ৮১.৫৯ বিসিএফ (আরম্ভ হতে ৩১জানুয়ারি ২০২৪ সাল পর্যন্ত)।
এখানকার চারটি কূপ থেকে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন করা হয় তিনটি কূপ থেকে। অনতিবিলম্বে নিজ দেশের গ্যাস নিজ দেশের মানুষের পাশাপাশি কসবা উপজেলার এলাকাবাসীদেরকেও ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া ভারত যাতে চোরাচালান পদ্ধতিতে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। খনিজ সম্পদ সংরক্ষণে বাংলাদেশের জনগণের এগিয়ে আসার, সাথে সাথে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নয়ন তারা
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।