‘সিক্স হিটিং মেশিন’ হিসেবে একটা পরিচিতি ছিল আগে থেকেই। এবারের আইপিএলের শুরুতে সে পরিচয়কে আরও জীবন্ত করে তুলেছেন নিকোলাস পুরান। প্রথম দুই ম্যাচেই ছক্কার তোপ দাগিয়ে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো দুটি বিধ্বংসী ইনিংস। তবে এমন ব্যাটিংয়ের পরও তার দাবি, ছক্কা মারার পরিকল্পনা তার থাকে না। ব্যাট স্পিড নিয়েও নাকি বাড়তি কাজ করেন না। সহজাত প্রতিভাই তাকে এগিয়ে রাখে। এবারের আইপিএলে নিলামের আগে পুরানকে ২১ কোটি রুপিতে ধরে রাখে লাক্ষ্েনৗ সুপার জায়ান্টস। গত আসরে ১৭৮ স্ট্রাইক রেটে প্রায় ৫০০ রান করেছিলেন তিনি, ছক্কা মেরেছিলেন ৩৬টি। তাকে ধরে রাখতে দল মরিয়া তো হবেই। এবারের আসরের শুরু থেকেই আবার সেই তাণ্ডব তিনি চালু করে দিয়েছেন। লাক্ষ্েনৗর প্রথম ম্যাচে ৩০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেদিন ২০৮ রান তুলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে যায় তার দল। দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মাঠে ১৯৪ রান তাড়ায় আবার বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দেন তিনি। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এবার আসে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ৭০ রানের ইনিংস। এবার জয়ের দেখা পায় দল। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৫৬ বল খেলে তার রান ১৪৫। চার মেরেছেন ১২টি, ছক্বা ১৩টি। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তার ধুন্দুমার ব্যাটিং। একের পর এক বল আছড়ে পড়ে সীমানায়, আশ্রয় নেয় গ্যালারিতে। কখনও কখনও তার ব্যাটিং দেখলে মনে হয়, ছক্কা মারার চেয়ে সহজ কাজ আর নেই। তবে তার নিজের দাবি, ছক্কা মারার ছক সাজিয়ে তিনি ক্রিজে যান না। পরিকল্পনা করে ছক্কা মারি না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ভালো পজিশনে যেতে, এরপর যদি বল সেখানে পাই, চেষ্টা করি ভালো টাইমিং করতে। গত ৯ বছরে নিজের শিল্প নিয়ে কাজ করে চলেছি। অবশ্যই এখন ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছি, পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করতে পারছি।