জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ ম্যাচে করেছেন ১৯ রান। এই পারফরম্যান্স খুব বেশি ভাল না হলেও আপাত চোখে খুব খারাপ লাগার মত কিছু নয়। তবে নিজের এই পারফরম্যান্সে ভালো কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না তামিম ইকবাল। হারারের ব্যাটিং উইকেটে বড় স্কোর গড়তে না পেরে হতাশ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিম করেন ৮৮ বলে ৬২ রান। শুরুটা যদিও বেশ দ্রুত গতিতে করেছিলেন তিনি। তবে ৪০ ছোঁয়ার পর হুট করে থমকে যান অনেকটা। ৪৪ থেকে ৫০ রান স্পর্শ করতে বল খেলেন ২২টি। হাফ সেঞ্চুরি করতে লেগে যায় ৭৯ বল। পরে সেটা পুষিয়েও দিতে পারেননি বড় ইনিংস খেলে। দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরু করেছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। আর সেটা ধরে রেখেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত। সে ম্যাচে ৪৩ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে হাফ সেঞ্চুরি করার পরপরই আউট হয়ে যান আলগা এক শটে। আর শেষ ম্যাচে গত বুধবার আবার শুরু করেন আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে। তবে তাকে থামতে হয় ১৯ রানে। সতীর্থ এনামুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান তামিম।
সিরিজ শেষে নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে হতাশাই প্রকাশ করেছেন তামিম। কারন হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। সেখানে বড় স্কোর গড়তে না পারা পোড়াচ্ছে তাকে। সঙ্গে প্রতিপক্ষের সেঞ্চুরিগুলোও যন্ত্রণা হয়ে এসেছে তার জন্য। প্রতিপক্ষের সিকান্দার রাজা মিডল অর্ডারে নেমে দুটি ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করেছেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ইনোসেন্ট কাইয়া, আরেক ম্যাচে রেজিস চাকাভা। নিজের ব্যর্থতা আর প্রতিপক্ষের সাফল্য মিলেই বাংলাদেশ অধিনায়কের আক্ষেপ আরও বেশি। তিনি বলেন আমি খুশি নই মোটেও। যদিও কিছু রান করেছি, তবু একটুও খুশি নই। কারণ সাধারণত এরকম উইকেট পাওয়াই মুশকিল। যত ভালো ব্যাটিং উইকেটই থাকুক না কেন, বোলারদের জন্য কিছু সহায়তা থাকে। কিন্তু এখানে প্রথম ১০ ওভারের পর উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য এত ভালো হয়ে যায় যে এখানে ৬০-৫০ এমন স্কোর যথেষ্ট নয়। দুই দলের পার্থক্য ছিল এখানেই। ওরা চারটা শতরান করেছে আর আমরা একটিও করতে পারিনি। কাজেই ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করলে আমি নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নই মোটেও।